দক্ষিণ বাংলার ইতিহাস-খ্যাত একটি উপজেলা ভাণ্ডারিয়া। এখানে উচ্চশিক্ষা প্রসারের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রয়াত বাবু রাজেন্দ্র কুমার শীলসহ কিছু সংখ্যক মহানুভব ও বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তির নিরলস প্রচেষ্টার ফসল এই ভাণ্ডারিয়া সরকারি কলেজটি ১৯৭০ সালে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৮৫ সালে আধুনিক ভাণ্ডারিয়ার রূপকার জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, এম.পি-এর প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে অনেক আশা ভরসা নিয়ে কলেজটি সরকারিকরণ হয়।

যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগ তিতিক্ষায় এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত ও সরকারিকরণ হয় তাঁদের এই অসামান্য অবদানকে সামান্য ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। শুধু বলব, তাঁরা অসাধারণ! আমি আশা করব, যে সূদুর প্রসারি আশা ভরসা নিয়ে পোনা নদীর তীরে সবুজ শ্যামলিমায় ঘেরা পরিবেশে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা যেন দল মতের ঊর্দ্ধে থেকে সকলের সহযোগিতায় দিন দিন আরো বিকশিত হতে পারে।

প্রকাশ থাকে যে, এই কলেজে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স কোর্স চালু হয়েছে এবং উক্ত কোর্সে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের ফলাফল সন্তোষজনক। আরো কয়েকটি বিষয়ে অনার্স কোর্স  খোলার কাজ সমাপ্ত হয়েছে। কলেজে শিক্ষা প্রকৌশল কর্তৃক ছয় (০৬) তলা একাডেমিক ভবনের কাজ এবং অনার্স ভবনের ৩য় তলার কাজ সম্প্ত হয়েছে। কলেজে শিক্ষা প্রকৌশল কর্তৃক মসজিদ সম্প্রসারণের, শ্রেয় হয়েছে। প্রশাসনিক ভবনের ২য় তলা পর্যন্ত নিমার্ন কাজ চলমান। মাঠের নব নির্মিত গোল পোষ্টটি মাঠের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।মাঠে বালি ভরাটের কাজ প্রক্রিয়াধীন। নব নির্মিত ছয় তরা ভবনের সামনে বাগান করার কাজ চলমান।

আলোকিত মানুষের-পুলকিতে উচ্ছাসে ভাণ্ডারিয়া কলেজ সবুজ চত্বর মুখরিত থাকবে সকলের একনিষ্ট  সহযোগীতায় – এটাই আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

প্রফেসর মো. আমানউল্লাহ খান

অধ্যক্ষ

ভাণ্ডারিয়া সরকারি কলেজ, পিরোজপুর।